ট্রানজিস্টর মডেল এবং সমতুল্য সার্কিট এর বিষয়ে ১০টি অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নত্তরঃ
ট্রানজিস্টর (Transistor): কি? / অথবা, ট্রানজিস্টর (Transistor): কাকে বলে?
উত্তরঃ ট্রানজিস্টর (Transistor): একটি অর্ধপরিবাহী যন্ত্র, যা সাধারণত অ্যামপ্লিফায়ার এবং বৈদ্যুতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তিন প্রান্তবিশিষ্ট যে ক্ষুদ্র অর্ধপরিবাহী যন্ত্রে বহির্মুখী প্রবাহ, ভোল্টেজ এবং ক্ষমতা অন্তর্মুখী প্রবাহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে ট্রানজিস্টর বলে।
ট্রানজিস্টর মডেল কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ট্রানজিস্টর মডেল প্রধানত ২ ভাগে ভাগ করা যায়; যথা- (ক)ডিভাইস ডিজাইন মডেল ও (খ)সার্কিট ডিভাইস মডেল।
ট্রানজিস্টরের নামের সার্থকতা কী?
উত্তরঃ Transfer-এর Trans এবং Resistor এর istor যোগ করে Transistor নামকরণ করা হয়েছে। Transfer অর্থ স্থানান্তর এবং Resistor অর্থ প্রতিরোধকারী। ট্রানজিস্টর (Transistor) এ ছোট মানের সিগনালে কম রেজিস্ট্যান্সের দিকে প্রয়োগ করলে তা বেশি Resistance এর দিকে বেশি পাওয়ার আকারে স্থানান্তরিত হয়, তাই ট্রানজিস্টর নামের সার্থকতা যথার্থ।
ট্রানজিস্টরকে দুই পোর্ট ডিভাইস বলা হয় কেন?
উত্তরঃ ট্রানজিস্টরের তিনটি প্রান্তের যে-কোন একটি ইনপুট ও আউটপুট-এর জন্য সাধারণ হিসেবে ধরে চার প্রান্ত দুটি পোর্ট হিসেবে চেহ্নিত করা যায় বলে ট্রানজিস্টরকে দুই পোর্ট ডিভাইস বলা হয়। এখানে চারটি প্রান্তরকে সমন্বয় করে ট্রানজিস্টররে CB, CE এবং CC কনফিগারেশন করা হয়। প্রতিটি কনফিগারেশনেই একটি ইনপুট এবং একটি আউটপুট পাওয়া যায়।
হাইব্রিড প্যারামিটার বলতে কী বোঝায়?
অথবা, H-parameter বলতে কী বোঝায় অথবা, H-parameter কাকে বলে? অথবা, H-parameter কী? উত্তরঃ দুই পোর্ট বা চার প্রান্তবিশিষ্ট লিনিয়ার ডিভাইসের ইনপুট ও আউটপুট ইস্পিড্যান্স ভোল্টেজ গেইন ইত্যাদি সঠিকভাবে জানার জন্য চারটি প্যারামিটা h11,h12,h21 ও h22 ব্যবহার করা হয় এদেরকেই H-প্যারামিটার বলে।
h11 ও h12 বলতে কী বুঝাই?
উত্তরঃ h11 বলতে বুঝায় চার প্রন্তবিশিষ্ট ডিভাইসের ইনপুট স্পিড্যান্স। h11=v1/i1 এর একক ওহম (Ω)। h12 বলতে বুঝায় চার প্রন্তবিশিষ্ট ডিভাইসের রিভার্স ট্রান্সফার ভোল্টেজ রেশিও (Reverse transfer voltage ratio), h12=v1/v2 এর কোন প্রকার একক নেই।
ট্রানজিস্টর এর h-প্যারামিটার গুলোর নাম লেখ-
উত্তরঃ কোন ট্রানজিস্টরের Hybrid parameter সমূহ হলো h11,h12,h21 ও h22 ইত্যাদি। নিম্নোক্ত উপায়ে তা প্রকাশ করা যায়-h11 = আউটপুট শর্ট অবস্থায় ইনপুট স্পিড্যান্স। h12 = ইনপুট ওপেন অবস্থায় রিভার্স ট্রান্সফার ভোল্টেজ রেশিও। h21 = আইটপুট শর্ট অবস্থায় ফরোয়ার্ড ট্রান্সফার কারেন্ট গেইন। h22 = ইনপুট ওপেন অবস্থায় আউটপুটে অ্যাডমিট্যান্স।
h-প্যারামিটারের মান কিসের উপর নির্ভর করে?
উত্তরঃ h-প্যারামিটারের মান ট্রানজিস্টরের অপারেটিং পয়েন্টের উপর নির্ভর করে।
হাইব্রিড প্যারামিটারের সুবিধা কি কি?
এই পদ্ধতির সুবিধা হলো সার্কিট কম্পোনেন্ট মান সহজে জানা যায় এবং পদ্ধতিটি সহজেই বুঝা যায়। এদের সহায়তায় নির্ভুলভাবে সার্কিটের ইনপুট ইস্পিড্যান্স, ভোল্টেজ গেইন, কারেন্ট গেইন ইত্যদি জানা যায়।
হাইব্রিড প্যারামিটারের অসুবিধা কি কি?
হাইব্রিড প্যারামিটারের অসুবিধা হলো-
১। একটি বিশেষ ট্রানজিস্টারের ক্ষেত্রে এইছ-প্যারামিটারের সঠিক মান নির্নয় করা কঠিন। কারণ এই প্যারামিটারের মান ইউনিট টু ইউনিট পরিবর্তন, তাপমাত্রা পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তন এবং অপারেটিং পয়েন্ট-এর পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তিত হয়ে থাকে।
২। এইচ প্যারামিটার শুধুমাত্র স্মল এসি সিগনাল-এর ক্ষেত্রে সঠিকভাবে কাজ করে। কারণ ট্রানজিস্টার শুধুমাত্র স্মল এসি সিগনালের ক্ষেত্রে লিনিয়ার ডিভাইছ হিসাবে কাজ করে।